২০১২ সালে আফগানিস্তানে তালিবানের শাখা সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক অপহরণ করেছিল মার্কিন-কানাডীয় দম্পতি জোশুয়া এবং কেইটল্যান কোলম্যানকে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছ থেকে ওই দম্পতি এবং তাদের তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পাক সেনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই ঘটনা পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য ‘ইতিবাচক’।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ আগেই জানিয়েছিল, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের তালিবান অধ্যুষিত এক প্রত্যন্ত গ্রামে বন্দি করে রাখা হয়েছে এক দম্পতিকে। সঙ্গে রয়েছে তাদের সন্তানরাও। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালিয়েছিল সিআইএ। অভিযানের কৌশলও ঠিক করে ফেলা হয়েছিল। তবে এবারের পরিস্থিতি একটু অন্য রকম। অপহৃত ওই দম্পতিকে উদ্ধারের জন্য মার্কিন সেনার সঙ্গে জোট বাধে পাকিস্তানের সেনাও।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাদেরর সহযোগিতা না পেলে আরও একটা লাদেন হত্যার রাতের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হত পাকিস্তানকে। তাছাড়া তালেবানের শাখা সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ককে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান, এমন প্রশ্নেরও সামনে পড়তে হত পাক সরকারকে।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ সূত্রে খবর, অপহরণকারীরা গাড়িতে করে ওই দম্পতিকে নিয়ে যাওয়ার সময়েই পথ আটকেছিল পাকিস্তানি সেনা। তাদের গুলিতে মৃত্যু হয় বেশ কিছু জঙ্গিরও। পাক সেনার সঙ্গে জঙ্গি দমন অভিযানে যোগ দেয় নেভি সিলের কম্যান্ডোরাও। গোটা ঘটনাটাই ছিল নাটকীয়। জখম হয়েছিলেন জোশুয়াও। তবে মার্কিন অফিসাররা এখনও নিশ্চিত ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর