সেক্স ভিডিও দিয়ে ভারতের ছত্রিশগড় রাজ্যের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী রাজেশ মুনাতকে ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগে বিবিসি’এর সাবেক সাংবাদিক বিনোদ ভার্মাকে গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। শুক্রবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। দুপুরে ভার্মাকে গাজিয়াবাদের স্থানীয় একটি আদালতে তোলা হলে ছত্রিশগড় পুলিশ তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানায়। আদালত তাতে অনুমতিও দেয়। এর ফলে ভার্মাকে গাজিয়াবাদ থেকে রায়পুর নিয়ে এসে সেখানকার আদালতে তোলা হবে। ট্রানজিট রিমান্ডে পাঠানোর খবর জানার পরই ভার্মা জানান তাঁর কাছে রাজেশ মুনাতের একটি সিডি আছে এবং সেই কারণেই সরকার এতটা উদ্বিগ্ন।
এর আগে আজ ভোরে ইন্দ্রপুরম পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এই সিনিয়র সাংবাদিককে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় জেরা করা হয় ভার্মাকে।
ভার্মা বিবিসির হিন্দি বিভাগ ও হিন্দি ‘অমর উজালা’তে কর্মরত ছিলেন। যদিও এই মুহূর্তে ফ্রিল্যান্সং করছেন ভার্মা। সূত্রের খবর, তিনি ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সভাপতি ভূপেশ বাঘেল’এর কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করছেন এবং এই কাজের সূত্রেই কখনও দিল্লি কখনও আবার রায়পুর অবস্থান করছেন।
ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওই সেক্স সিডি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ওই মন্ত্রীর কাছ থেকে রুপি তোলার চেষ্টা করছিলেন। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে মন্ত্রীর এক সহযোগীকে ফোন করে সিডি’র বিনিময়ে রুপি দাবি করেছিলেন বলে জানা গেছে।
এরপরই বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বিজেপির কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রকাশ বাজাজের পক্ষ থেকে রায়পুরের পান্ডারি পুলিশ স্টেশনে ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভার্মার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ভয় দেখানোর অপরাধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৮৪ এবং ৫০৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ ভোরে ভার্মাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে ৫০০ টি পর্ণ সিডি, ২ লাখ রুপি, একটি ল্যাপট ও পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তবে ভার্মার এই গ্রেফতারি নিয়ে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ) সহ বিরোধী দলগুলি নিন্দা জানিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র অজয় মাকেন’এর অভিযোগ ‘বিজেপি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে গলা টিপে ধরতে চাইছে’। শিগগির ভার্মার মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট খবর-
মন্ত্রীর সেক্স ভিডিও ফাঁসের ভয়ে সাংবাদিক গ্রেফতার
বিডি প্রতিদিন/২৭ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল