মালদ্বীপের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মালদ্বীপ ছাড়াও আফগানিস্তানের অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতাই ফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
দুই নেতা মালদ্বীপের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাদণ্ড পাওয়া মোহম্মদ নাশিদ ও বিরোধী দলের ১২ সাংসদকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু মালদ্বীপের বর্তমান সরকার বিরোধী নেতাদের মুক্তি দিতে চায়নি। বরং সোমবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন জরুরি অবস্থা জারি করেন। এরপরেই সে দেশের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লা সাইদ এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল গাইয়ুমসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠে এবং সুপ্রিম কোর্ট ও সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। এরপরেই রাজধানী মালে শহরে সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ে। দেশটির পার্লামেন্ট ঘিরে রাখা হয়েছে।
মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় মালদ্বীপে দ্রুত সেনাবাহিনী পাঠানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেই জন্য আর্মি-নেভি ও এয়ারফোর্সকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। মালদ্বীপ সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে অবস্থানকারী নৌ সেনার যুদ্ধ জাহাজেও বার্তা পাঠানো হয়েছে।
রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ নাশিদ। তিনি বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় নির্বাসিত। আর নাশিদের আহ্বানের পরই নড়ে চড়ে বসেছে ভারত।
বিডি প্রতিদিন/০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম