দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যু। এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনও লক্ষ্য করা গেছে। সর্বশেষ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে দুই কোরিয়ার ঐকমত্যে পৌঁছায়।
তবে উত্তর কোরিয়ার এই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে ১৫ বছর লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক শীর্ষ উপদেষ্টা সিগফ্রিড এস হেকার। অন্তত চারবার তিনি পিয়ংইয়ংয়ের গোপন পরমাণু প্লান্টগুলো ঘুরে দেখেছেন। তিনিই একমাত্র মার্কিন অস্ত্রবিজ্ঞানী যিনি দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ল্যাব প্রত্যক্ষ করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ মেক্সিকোয় লস আলামোস ওয়েপন্স ল্যাবরেটরির সাবেক পরিচালক এবং বর্তমানে ট্রাম্প সরকারের শীর্ষ উপদেষ্টা হেকার সম্প্রতি এক রিপোর্টে উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণের বিভিন্ন ধাপ ও টাইমটেবিল উল্লেখ করেছেন।
সিগফ্রিড এস হেকার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বড়জোর আশা করতে পারে, কয়েক ধাপে বা পর্যায়ক্রমে শেষ হবে এই নিরস্ত্রীকরণ। তবে ঠিক কি কারণে এত সময় লাগতে পারে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি হেকার।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের মধ্যে বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ মে ২০১৮/এনায়েত করিম