মালয়েশিয়ায় ফিলিস্তিনি অধ্যাপক ফাদি আল-বাথকে হত্যার ঘটনার পর এবার আলজেরিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্টে দুই ফিলিস্তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের নিহতের পিছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ জড়িত থাকতে পারে।
নিহতরা হলেন, গাজা উপত্যকর খান ইউনিসের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলবানা এবং ৩৪ বছর বয়সী সুলাইমান আল ফারা। আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সের শহরতলি জেরাল্ডায় আল ফারা’র অ্যাপার্টমেন্টে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় গেছে।
অনেক ফিলিস্তিনি মনে করছেন, তাদেরকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং এর জন্য ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’কে তারা দায়ী করছেন। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্ক নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে আলবানা’র ভাই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। সেখানে কি ঘটেছে তা জানাতে আলজেরিয়া এবং ফিলিস্তিনি দূতাবাস কর্তৃপ প্রয়োজনীয় সব পদপে গ্রহণ করবে বলে আমি আশা করি।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের পিছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচরদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে মালয়েশিয়ার একটি মসজিদে প্রবেশের সময় হামাসের একজন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফাদি আল-বাথকে হত্যা করা হয়। নিহতের পরিবার এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই হত্যার জন্য মোসাদকে দায়ী করে। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তার হত্যার পিছনে ‘বিদেশি এজেন্ট’ জড়িত ছিল। দুই বছর আগে হামাসের ড্রোন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জাওয়াহিরিকে তিউনিসিয়ায় হত্যা করা হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান