গোটা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। অনেকের কাছে দিনটি কোরবানির ঈদ বলেও পরিচিত। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস ময়দানসহ বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে কলকাতায় সবচেয়ে বড় নামাজটি হয় রেড রোডে। সকাল ৯টায় কলকাতার রেড রোডে শুরু হয় ঈদের নামাজ। হাজার হাজার মুসল্লি পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এই দিনটি পালিত হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে দিনটি ত্যাগের। স্বভাবতই নমাজ পাঠের পরই মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ যে যার সাধ্যমতো পশু কোরবানি দেন এবং তারপর গরিব-দুঃখীদের দানের মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। গতকাল অনেক রাত পর্যন্ত চলে ঈদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, ত্রিপুরা, অাসামসহ দেশের প্রতিটি রাজ্যেও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রমুখ।
টুইট বার্তায় রাষ্ট্রপতি জানান, সকল ভারতবাসী বিশেষ করে ভারত ও সারা বিশ্বে বসবাসকারী আমার মুসলিম ভাই ও বোনদের ঈদ মোবারক। ঈদুল আজহার এই বিশেষ দিনে আমরা উৎসর্গের পবিত্র উদ্দীপনা উদযাপন করি। আসুন, এই দিনে ঐক্য, ভ্রাতৃত্বের জন্য একজোট হয়ে কাজ করার সংকল্প নিই।
মোদি টুইট করে জানান, ঈদুল আজহায় সকলকে শুভেচ্ছা। এই দিনটি যেন আমাদের সমাজে সমবেদনার একাত্মতাকে এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুদৃঢ় করে।
টুইটারে রাহুল জানান, প্রত্যেককে ঈদ মোবারক। এই ঈদ আপনাদের জীবনে আনন্দ, শান্তি ও সুখের বার্তা নিয়ে আসুক।
মমতা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই বিশেষ দিনে ভ্রাতৃত্ববোধ ভাগাভাগি করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞা করি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা