মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইনে জাতিসংঘের সাহায্য তৎপরতার লাগাম টেনে ধরেছে দেশটির সরকার। এতে অন্তত অর্ধ লাখ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সাম্প্রতিক সহিংসতায় বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত লোকজন। খবর রয়টার্সের।
সহিংসতাকবলিত রাজ্যটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলীয় পাঁচটি শহরতলিতে বেসরকারি এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও রেডক্রস ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে।
অঞ্চলটিতে সম্প্রতি অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে নৃতাত্ত্বিক বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছেন।
রাখাইনের কিয়েকটো ও পোনাগিওন শহরতলিতে সাহায্যকর্মীদের বিধিনিষেধে ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে তথ্যসংগ্রহ করে সংক্ষিপ্তাসার তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সমন্বয়বিষয়ক অফিস (ইউএনওসিএইচএ)।
বুধবার জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থার কাছে সেসব তথ্য বিলি করে মতামত চেয়েছে তারা।
সংস্থাটি বলছে, বিধিনিষেধের ফলে আগের বিভিন্ন কর্মসূচি বন্ধ ও কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা। বিশেষ করে এতে স্বাস্থ্যসেবা, সুপেয় পানি, বিদ্যালয় নির্মাণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
ইউএনওসিএইচএ জানায়, কিয়েকটোর ১৫ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে। প্রতি মাসে এ কর্মসূচি থেকে এক হাজার ৬০০ লোক চিকিৎসা পাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এসব সেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
মিয়ানমারে সংস্থাটির মুখপাত্র পিয়েরে পেরন বলেন, সাম্প্রতিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার ক্ষতির প্রভাব নিয়ে মূল্যায়ন করছি আমরা। রাখাইন রাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে যাচ্ছে জাতিসংঘ। নির্দিষ্ট তৎপরতার জন্য ভ্রমণ অনুমতি পেতে বিভিন্ন সংস্থাকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছি।
নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিলের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে রাখাইন কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর লরা মার্শাল বলেন, আমরা আগে থেকে জরুরি সরবরাহ প্রস্তুত করে রেখেছি। পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে সাহায্য তৎপরতা শুরু করব।
বিডি প্রতিদিন/কালাম