বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ নাট্যকার ও কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়ার। তার ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ কিংবা ‘অ্যা মিডসামার নাইটস ড্রিম’ যেখানে রচনা হয়েছিল। লন্ডনের সেই বাড়ির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন এক গবেষক।
থিয়েটার সংক্রান্ত ইতিহাসবিদ জিওফ্রি মার্শ এক দশক ধরে এই ইংরেজি নাট্যকার ও কবির বাসস্থানের খোঁজে গবেষণা চালিয়েছেন।
১৫৯০ সালের সময়টা ঠিক কোথায় থাকতেন শেক্সপিয়ার? নানা দিক থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য মিলিয়ে-জুলিয়ে তিনি বোঝার চেষ্টা করেছেন বিষয়টা।
পূর্ব লন্ডনের শোরডিচ-এ ২০০৮ সালে ‘দ্য থিয়েটার’-এর খোঁজ পাওয়ার পর থেকে মার্শ আরও জোরকদমে কাজে লাগেন। তখনই তার মনে প্রশ্ন জাগে, নিজের নাটকগুলো যখন অভিনীত হচ্ছে, তখন সৃষ্টিকর্তা শেক্সপিয়ার কোথায় থাকতেন?
আগেই জানা গিয়েছিল, মধ্য লন্ডনে লিভারপুল স্ট্রিট স্টেশনের কাছে থাকতেন শেক্সপিয়র। যা তখন পরিচিত ছিল সেন্ট হেলেনের প্যারিশ হিসেবে। ওই সময়ের (১৫৯৭-৯৮) করদাতাদের তালিকায় কবির নাম খুঁজে পাওয়ার পরেই এই তথ্য স্পষ্ট হয়। কিন্তু ওই অঞ্চলের ঠিক কোথায় তিনি থাকতেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মার্শের দাবি, কিছু প্রমাণ থেকে দেখা যাচ্ছে ১৫৯০ সালে সেন্ট হেলেনের চার্চ লাগোয়া সমাধিক্ষেত্রের আড়ালে একটি জায়গায় থাকতেন শেক্সপিয়র। কোম্পানি অব লেদারসেলার্স-এর ভাড়াটে ছিলেন তিনি।
ভিক্টোরিয়া এবং অ্যালবার্ট মিউজিয়াম এর ডিপার্টমেন্ট অব থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স এর কর্মকর্তা মার্শ বলছেন, ‘‘লন্ডনের যেখানে শেক্সপিয়র থাকতেন, তার কাজ ও জীবনে সেই জায়গাটি থেকে তিনি কী ভাবে অনুপ্রেরণা পেতেন, সেটা আমাদের বুঝতে সুবিধে হবে।’’
তার মতে, ‘‘স্ট্র্যাটফোর্ড থেকে লন্ডনে আসার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি শহরের যথেষ্ট অভিজাত প্যারিশ-এ থাকতে শুরু করেন, যেখানে সমাজের ক্ষমতাশীল বিশিষ্ট জন, বিত্তবান বিদেশি ব্যবসায়ী, নামী চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ সঙ্গীতশিল্পীদের ভিড়।’’
এই ইতিহাসবিদ মনে করছেন, লন্ডনের মতো জায়গায় থেকে লেখালেখির দৌলতে শেক্সপিয়ারের পদমর্যাদাও কালে কালে বেড়েছে। তাই পরবর্তীকালে স্ট্র্যাটফোর্ডে বহুমূল্য ও নজরকাড়া বাড়ি কেনার পরিকল্পনাও করেছিলেন কবি ও নাট্যকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন