শ্রীলঙ্কায় যে ৩টি গির্জায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে একটি ছিল নেগাম্বো শহরের সেন্ট সেবাস্তিয়ান গির্জা।
হামলার আগে একটি পরিবার হামলাকারীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখেছেন বলে দাবি করেছে।
দিলিপ ফারনান্দো নামে এক ব্যক্তি বলেন, রবিবার সকালে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই গির্জায় প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গির্জার সামনে গিয়ে অনেক ভিড় দেখতে পান।
তিনি বলেন, “এসময় এত ভিড় ছিল যে সেখানে দাঁড়ানোর মতো জায়গাও ছিল না। তাই আমি সেখানে সময় নষ্ট করতে চাইনি। দ্রুত সেখান থেকে অন্য গির্জার উদ্দেশে চলে যেতে ভিড় থেকে বেরিয়ে আসি।”
তার এই সিদ্ধান্তের কারণেই তারা প্রাণে বেঁচে যান। কেননা, ওই ভিড়ের সময়ই সেখানে বোমার বিস্ফোরণ হয়।
তবে তাদের পরিবারের আরও কয়েকজন ওই ভিড়ের মাঝেই ছিল। যারা সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন। তারা বলেন, “আমরা মনে হয় ওই হামলাকারীকে দেখেছি।”
দিলিপ বলেন, “আমরা দেখলাম ভিড়ের শেষ প্রান্ত থেকে এক যুবক সবাইকে ঠেলে ভেতরে যাচ্ছে। তার কাঁধে ছিল ভারী একটি ব্যাগ। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে আমার নাতনির মাথায় হাত বুলায়। এটাই ছিল হামলাকারী।”
উল্লেখ্য, খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য খুবই আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন ইস্টার সানডে। এটি পালনের সময় দেশটির রাজধানী শহর কলম্বোর কচ্চিকাডের সেন্ট অ্যান্থনি গির্জা, নিগাম্বোর সেন্ট সিবাস্তিয়ান গির্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গির্জায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া রাজধানীর শাংরি লা হোটেল, সিনামন গ্রান্ড ও কিংসবারি পাঁচ তাঁরা হোটেলেও বিস্ফোরণ হয়। এরপর আরও দুটি স্থানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম