সৌদি আরবের কাছে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেটিকে আটকে দিয়েছিল দেশটির সিনেট। কিন্তু সোমবার চুক্তিটি ঠেকাতে কংগ্রেসের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেটো দেয়ার পর সিনেট এক্ষেত্রে ভেটো অগ্রাহ্য করতে ব্যর্থ হয়। আর এতে করে সৌদি আরবের কাছে ৮১০ কোটি ডলার মূল্যের বিতর্কিত অস্ত্র বিক্রি প্রতিরোধে মার্কিন সিনেট ব্যর্থ হয়েছে।
সৌদি আরবে ট্রাম্প প্রশাসনের অস্ত্র বিক্রি থামাতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নতুন আইন প্রস্তাব করেছিল ডেমোক্র্যাটরা। কংগ্রেসম্যান টেড লিউয়ের আনা ওই প্রস্তাবে হোয়াইট হাউসে অনুমোদন পাওয়া সৌদি আরবের সঙ্গে ২২টি অস্ত্র বিক্রি চুক্তি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। প্রতিনিধিদের দাবি, ইরানের হুমকির কথা হাজির করে এ চুক্তি করা হলেও তেমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানদের দাবি ছিল যে, এ চুক্তি হলে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অস্ত্রের আঘাতেই প্রাণ হারাবে হাজার হাজার বেসামরিক। এদিকে, চলতি মাসেই কংগ্রেসে এ প্রস্তাব পাস করা হয়। সেখানে প্রস্তাব পাস ছিল ট্রাম্পের জন্য একটি বড় আঘাত। তবে ট্রাম্পের প্রশাসন আইনপ্রণেতাদের এড়িয়ে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিতে গত মে মাসে একটি বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তার প্রশাসন ঘোষণা করে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বড় হুমকি।
সম্প্রতি কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েই সৌদি আরবের কাছে ৮১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করার চুক্তি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ধরনের অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সাধারণত মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের দরকার হলেও বিশেষ অবস্থায় প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে তা অনুমোদনের ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প। বিশেষ অবস্থা ঘোষণার কারণ হিসেবে ইরানের কাছ থেকে হুমকি বৃদ্ধির দাবি করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করলেন। এদিকে সমালোচকরা বলছেন, এসব অস্ত্র বিক্রি ইয়েমেনে ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাবে। ইয়েমেনে সৌদি আরব যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে সেটি নিয়ে কংগ্রেস সদস্যরাও তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার