২০ আগস্ট, ২০১৯ ১৩:১৯

এবার মালয়েশিয়ার সকল প্রদেশে জাকির নায়েকের বক্তব্য দেয়া নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক

এবার মালয়েশিয়ার সকল প্রদেশে জাকির নায়েকের বক্তব্য দেয়া নিষিদ্ধ

ভারতে আর্থিক কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত জাকির নায়েকের উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রতিবাদের ঝড় উঠে মালয়েশিয়ায়। এরই জেরে মালয়েশিয়ার সাত প্রদেশে তার বক্তৃতা দেয়ায় ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হলেও এবার দেশটির সকল প্রদেশেই নিষিদ্ধ হলেন জাকির নায়েক। 

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া পুলিশ। 

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কোটা বারুতে ভারতের মুসলমানদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার হিন্দুদের পরিস্থিতির তুলনা করেন জাকির নায়েক। তিনি বলেন, "ভারতে মুসলমানরদের তুলনায় মালয়েশিয়ায় হিন্দুরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে।" এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় হিন্দু এবং চীনাদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাকির নায়েক। তার এমন মন্তব্যকে ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়। এরপরেই মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রী তার স্থায়ী নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার আহ্বান জানান।

এর আগে গত রবিবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা বলে সীমা লঙ্ঘন করেছেন জাকির নায়েক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় শান্তি নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জাকিরের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেন মালেশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান। তিনি বলেন, "মালেশিয়ায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ থাকেন। তাদের মধ্যে বিভেদ ছড়াচ্ছে জাকির নায়েক।" জাকিরের বিরূদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকবার হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা অভিযোগ করেন তিনি। তিনি জানান, মালয়েশিয়া থেকে জাকিরকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করবেন তিনি।  

কুলাসেগারান বলেন, "ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারী ও মৌলবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত জাকির নায়েক। সময় হয়েছে তাকে ভারতের প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার।"

ভারতে একাধিক আর্থিক কারচুপির সঙ্গে জড়িয়ে জাকির নায়েকের নাম। বিভিন্ন বই ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতে মৌলবাদী চিন্তাধারা প্রচারের অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। এর আগে জাকিরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। কিন্তু সেই সময়ে সঠিক বিচার না হওয়ার আশঙ্কায় তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়নি মালেশিয়ার সরকার। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর