রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক নৌমহড়ায় অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সামরিক বাহিনীকে যখন আরও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি ও একঘরে করার দাবি উঠছে, সেই মুহূর্তে তাদের দলে ভিড়িয়ে নৌমহড়ায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বুধবার আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নৌমহড়ায় মিয়ানমার বাহিনীর অংশগ্রহণের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের কার্যালয়ের মুখপাত্র জ মিন তুন।
আসিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে থাইল্যান্ড উপসাগরে এ জোটের নৌমহড়া শুরু হবে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অংশ নিতে চলেছে মিয়ানমারও। নৈতিকতার প্রশ্নে মার্কিন সরকারের এমন দ্বিমুখী আচরণে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রোহিঙ্গা নিধন চালায় সেখানকার সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় জাতিসংঘ দেশটির সশস্ত্র বাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে। ইউএন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তে মিয়ানমার কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লাইংকে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে অগ্নিসংযোগ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিধনযজ্ঞের অভিযোগে মিয়ানমার সেনাপ্রধানসহ চার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের মুখপাত্র জন কুইনলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হলো আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জবাবদিহিতার জন্য মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করা। তাদের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়া নয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন