যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও বন্ধুর সোশাল মিডিয়া পোস্টের জন্য একজন ফিলিস্তিনি তরুণের মার্কিন ভিসা বাতিল হয়েছে। সেই তরুণের নাম ইসমাইল আজওয়াই (১৭)। তিনি জানান, গত শুক্রবার বোস্টন বিমানবন্দরে হাজির হওয়ার পর তাকে কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ফোন এবং ল্যাপটপ তল্লাশি করার পর মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করেন।
বন্ধুর সোশাল মিডিয়া পোস্টের জন্য তাকে দায়ী করা যেতে পারে না, তিনি এই যুক্তি দেয়ার পরও কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে 'ঢুকতে দেয়া যায় না'।
মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন বিভাগের মুখপাত্র মাইকেল ম্যাকার্থি বলছেন, ''সিবিপি তল্লাশিতে যেসব প্রমাণ পাওয়া গেছে" তার ভিত্তিতে ঐ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজওয়াই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য একটি স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তাকে লেবাননে ফিরে আসতে হয়।
এ বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ওই ছাত্রের পরিবার এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
গত বছর জুন মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে নতুন এক নিয়ম অনুযায়ী মার্কিন ভিসা প্রত্যাশী প্রায় সব আবেদনকারীকে তাদের সোশাল মিডিয়ার বিস্তারিত জানাতে হবে।
যাত্রীদের ফোন নম্বর এবং পাঁচ বছর আগে থেকে ব্যবহার হওয়া ইমেইল ঠিকানা জানাতে হবে বলেও তারা জানায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার গত বছর মার্চ মাসে এই নিয়মের কথা প্রস্তাব করে।
কর্মকর্তারা সে সময় হিসেব করেছিলেন যে প্রায় দেড় কোটি দর্শণার্থী এই নতুন ব্যবস্থার আওতায় পড়বেন। তবে কূটনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা