স্থলপথে ভ্রমণের সবচেয়ে নিরাপদ বাহন হচ্ছে ট্রেন। তবে শিডিউল বিপর্যয় ও নিম্নমানের সেবার কারণে অনেকেই ট্রেনযাত্রাকে এড়িয়ে চলেন। তবে এবার সেবার মান বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।
এখন থেকে ট্রেন ছাড়তে দেরি হলে কিংবা ট্রেনে ভ্রমণকালে বাসায় চুরি হলে যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেবে দেশটি। ভারতীয় রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসি এ খবর নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ভারতের তেজস এক্সপ্রেস যাত্রা শুরুর পর থেকেই যাত্রীর সুবিধার্থে একাধিক স্কিম চালু করেছে। তার মধ্যে একটি হল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেরি করে ছাড়লে ক্ষতিপূরণ পাবেন যাত্রীরা।
অন্যটি আরও চমকপ্রদ। জানানো হয়েছে, তেজসে সফরকালে যাত্রীদের বাড়ি থেকে কোনও জিনিস চুরি হয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ এবং দিল্লি থেকে লক্ষ্ণৌ-এই দুই পথে চলছে আইআরসিটিসি পরিচালিত তেজস। এই এক্সপ্রেসে টিকিট কাটলে বিনামূল্যে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা পাবেন যাত্রীরা। ট্রেন যাত্রার সময় কোনও যাত্রীর বাড়িতে চুরি হলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে আইআরসিটিসি।
এছাড়া জরুরি অবস্থায় যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মিলবে ক্ষতিপূরণ।
জানা গেছে, লিবার্টি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স সংস্থা এই ক্ষতিপূরণ দেবে। ইতোমধ্যে বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া একটি ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন এক যাত্রী। তবে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার শর্ত হল আগে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। তারপর যোগাযোগ করতে হবে আইআরসিটিসির সঙ্গে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেজস এক্সপ্রেস দেরিতে ছাড়লেও ক্ষতিপূরণ দেবে। ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টার বেশি দেরি করলে প্রতি যাত্রীকে ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুঘণ্টা বা তার বেশি দেরি করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫০ টাকা পাবেন যাত্রীরা।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে আইআরসিটিসি জানিয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর ট্রেনটি দুঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছিল। ১৫৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৭৪ জন এ নিয়ে তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। বাকি ৮৪ জনকেও ভেরিফিকেশনের পর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম