ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সরকার গঠন নিয়ে একের পর এক নাটক চলছে। এনসিপির অভিযোগ, কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়ককে একটি বিশেষ বিমানে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যায় বিজেপি।
পরে শনিবার মধ্যরাতে সেখানকার একটি পাঁচতারকা হোটেল থেকে এনসিপির চার বিধায়ককে (এমপি) উদ্ধার করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিধায়ক নরহরি ঝিরওয়াল, দৌলত দারোদা, অনিল পাতিল ও নিতিন পাওয়ারকে মহারাষ্ট্রের গুরগ্রামে রেনেসাঁ নামে একটি পাঁচতারকা হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল।
ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাকর্মীরাই তাদের আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেছে এনসিপি। পরে দলের কর্মীরা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করতে গেলে বিজেপিকর্মী এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়।
উদ্ধার হওয়ার পর মুম্বাইয়ে ফিরে দুলাল দারোদা ও অনিল পাতিল বলেন, সবাই ভাবছিলেন আমরা দল ছেড়ে পালিয়ে গেছি। কিন্তু আমরা এখনও এনসিপিতে আছি। আমরা কোথাও যাইনি। আমরা শরদ পাওয়ারের সঙ্গেই আছি।
অভিযানের বর্ণনা দিয়ে উদ্ধারকারীরা জানান, স্থানীয় সূত্রে তারা বিধায়কদের আটকে রাখার কথা জানতে পেরে ওই হোটেলে রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালান।
হোটেলের ৫ হাজার ১১৭ নম্বর রুমে ছিলেন বিধায়করা। কিন্তু এক বিজেপি নেতার মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় তিনি চিনে ফেলেন। তিনি পুলিশকে বলেন, দুদলের কর্মীদের বাইরে বের করে দিতে। এর পরেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
হোটেলে অভিযানের কথা জানিয়ে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, বিজেপির ষড়যন্ত্র নিয়ে এই বিধায়করা যা জানিয়েছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। এটিই প্রমাণ করে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য বিজেপি কতটা নিচে নামতে পারে। এটি গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ লক্ষণ নয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন