সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে উগ্র মতবাদ প্রচারণার অভিযোগে সৌদি সরকারের কয়েক হাজার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
টুইটার এক ঘোষণায় বলেছে, তারা সৌদি আরবের ৬ হাজার মানুষের একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বহু সৌদি সরকারি কর্মকর্তা রয়েছে। সৌদি সরকারের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে টুইটারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলেও ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে।
টুইটারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া একাউন্টগুলোর প্রধান ভাষা আরবি হলেও এগুলোতে পশ্চিমা পাঠকদের জন্য ইংরেজিতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হতো এবং উগ্রাবাদী চিন্তাধারা ছড়ানো হতো।
টুইটার বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এর নাটের গুরু হিসেবে সৌদি আরবের ‘সামাআত’ কোম্পানিকে খুঁজে পেয়েছে এবং এই কোম্পানির ব্যবহৃত সব টুইটার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের দফতর প্রধান বাদর আল-আসাকার ওই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং তার বিরুদ্ধে টুইটারে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
টুইটারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, তারা মনে করছে ইরানের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পাশ্চাত্যে যে আলোচনা চলছে সৌদি আরবের এসব একাউন্ট থেকে সে প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে অন্যান্য দেশের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হামলা করার দায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের প্রায় চার হাজার একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার। সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী উগ্র ওহাবি মতবাদ প্রচারের কাজে কোটি কোটি ডলার অর্থ ব্যয় করে। সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি সাবাহ
বিডি প্রতিদিন/কালাম