চীন ও ভারতের মধ্যে লাদাখ নিয়ে সংঘাত আরও বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলমান সংঘাতের জেরে এবার উত্তেজনাপূর্ণ গলওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এর আগে, গত সোমবার লাদাখে চীনা সেনাদের হামলায় ভারতের ২৩ সেনা নিহত হওয়ার পর উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের দুই দিনের বৈঠকেও কোনো সুরাহা আসেনি।
এরই মাঝে দু’দিনের ঝটিকা সফরে গিয়ে লে ও শ্রীনগরের বিমানবাহিনী ঘাঁটি পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন ভারতের এয়ার ফোর্সের প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। তারপরই শুরু হয়েছে বিমানবাহিনীর এ তৎপরতা।
অন্যদিকে বিমানবাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফরওয়ার্ড বিমানবাহিনীর সদস্যকে ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেলসহ ভারতের ২০ বিমান সেনার মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন আরও ৫৮ জন। তারপর থেকেই গলওয়ান উপত্যকার পরিস্থিতি তপ্ত।
সোমবার রাতের ওই সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় মঙ্গলবার। প্রথমে ভারতীয় সেনার এক কর্নেল এবং দুই জওয়ানের মৃত্যুর খবর মিললেও মঙ্গলবার রাতের দিকে জানা যায়, চীনা বাহিনীর হামলায় আহত হয়ে দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডায় পড়ে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭ জওয়ানের।
দেশটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দিকে কয়েক কিলোমিটার ঢুকে এসে অস্থায়ীভাবে আস্তানা গেড়েছে চীনের সেনা। সোমবার রাতের সংঘর্ষের পর দু’দেশের মধ্যে একাধিক বার মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও চীনা বাহিনী ওই এলাকা ছাড়তে নারাজ বলা জানায়।
সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে সেই জট কাটানোর চেষ্টা যেমন চলছে, একইভাবে সামরিক প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে।
এদিকে, এ সংঘাত মোকাবিলায় ভারতীয় বিমানসেনাকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। ফলশ্রুতিতে ১২টি অত্যাধুনিক সুখোই ও ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত। এর জন্য দেশটির বিমানসেনা ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম