করোনা সারাতে সক্ষম-এমন দাবি করে গত মঙ্গলবারই পতঞ্জলির ‘করোনিল’ নামক আয়ুর্বেদিক ওষুধ বাজারে নিয়ে আসেন যোগগুরু বাবা রামদেব। কিন্তু তার পর থেকেই শুরু বিতর্ক।
আর এবার সেই বিতর্কের জেরেই রামদেব, পতঞ্জলির এমডি আচার্য বালকৃষ্ণ এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে জানানো হয়েছে করোনা নিরাময়ে সক্ষম দাবি করে ‘করোনিল’ ওষুধ নিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করছেন বাবা রামদেবসহ বাকিরা।
মঙ্গলবার হরিদ্বারের পতঞ্জলির সদর দফতর থেকে রামদেব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন হরিদ্বারের পতঞ্জলি রিসার্চ ইন্সিটিউট ও জয়পুরের ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে করোনিল এবং এটাই প্রথম আবিষ্কৃত করোনার ওষুধ।
রামদেবের দাবি ছিল করোনাভাইরাস মেরে ফেলার ক্ষেত্রে এই ওষুধের সাফল্যের হার নাকি শতকরা ১০০ ভাগ। যেখানে গোটা বিশ্বে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য দিন রাত এককরে গবেষণা চলছে সেখানে ‘করোনিল’এর করোনা সারানো নিয়ে পতঞ্জলির এই দাবি নিয়ে যথেষ্ট সোরগোল পড়ে যায়। বিতর্কের জেরে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রণালয় ‘করোনিল’ এর প্রচারণার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
শুক্রবার রাজস্থানের জয়পুরের জ্যোতি নগর পুলিশ থানায় বাবা রামদেব, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এমডি আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্সনে, নিমস’এর চেয়ারম্যান বলবীর সিং টোমার এবং এর ডিরেক্টর অনুরাগ টোমার-এর বিরুদ্ধে করোনিল নিয়ে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে এফআইআর করা হয়। এফআইআর-টি করেন বলরাম জাখর নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা) সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
জ্যোতিনগর থানার কর্মকর্তা সুধীর কুমার উপাধ্যয় এফআইআর’এর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ‘বাবা রামদেব সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন