২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৪৩

আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কঠোরতা; পায়ে ব্রেসলেট, করোনা টিকা বাধ্যতামূলক

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কঠোরতা; পায়ে ব্রেসলেট, করোনা টিকা বাধ্যতামূলক

সংগৃহীত ছবি

বেশ কিছু শর্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে করোনা ভাইরাস টিকা সবার জন্য চালু হতে পারে। ওই সময়ে বিদেশগামী কোনো যাত্রীকে অবশ্যই বিমানে উঠতে হলে তাকে কিছু বাধ্যতামূলক শর্তের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস বিমান সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালান জয়সে। 

তিনি বলেছেন, ফ্লাইট শুরু হলে পায়ের গোঁড়ালিতে ব্রেসলেট পরা থেকে শুরু করে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে। বিমানের স্যুয়ারেজ পরীক্ষা করা হবে। বাধ্যতামূলক টিকা নিতে হবে। খবর ডেইলি মেইল'র।

তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সফরকারীদের জন্য বিমানে উঠার আগে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। তার ভাষায় যেসব পর্যটক অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন অথবা যেসব মানুষ অস্ট্রেলিয়া থেকে বাইরের দেশে যাবেন, তাদের জন্য এই টিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই টিকা সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক সব ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা উচিত হবে। এ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য বিমান সংস্থার সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

এরই মধ্যে ১২ বছরের ওপরে বয়সী কোনো ভ্রমণকারী সিঙ্গাপুরে গেলে তাকে অবশ্যই একটি নজরদারিকারী ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরতে হয়, যদি সে বা তারা কোনো কোয়ারেন্টিন ফ্যাসিলিটিতে অবস্থান না করেন। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম নীতি রয়েছে। ওদিকে সুনির্দিষ্ট ভাড়া করা বিমানে করে আন্তর্জাতিক কোনো কর্মী যদি পাপুয়া নিউ গিনিতে যান তাহলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে পায়ের গোঁড়ালির কাছে একটি ব্রেসলেট পরতে হয়। সেখানে তারা দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকেন। এ সময় তাদেরকে এই ব্রেসলেট পরতেই হয়।

অ্যালান জয়সে ইঙ্গিত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য একই রকম নীতি গ্রহণ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। এটা করা হতে পারে নিরাপত্তার জন্য। এর আওতায় থাকবে ডিএনএ পরীক্ষা, যেটা পিসিআর পরীক্ষা নামে পরিচিত। ইউরোপ থেকে আসা প্রত্যাবর্তন বিষয়ক ফ্লাইট, যেগুলো ডারউইনে আসছে, সেখানে আমরা জনগণের পরীক্ষা করছি। পিসিআর পরীক্ষা করছি। ডারউইনে এই পরীক্ষা করার মাধ্যমে আমরা আশাবাদী কাউকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা ঠিক হবে কিনা। এ ছাড়া বিমানে পরিত্যক্ত পানিও আমরা পরীক্ষা করছি। এটা করে আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি যে, বিমানের কোনো যাত্রীর করোনা সংক্রমণ আছে কিনা। এতে আমাদেরকে বেশ কিছু আশাপ্রদ ফল দিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর