আজ ১৩ মার্চ, মিয়ানমারের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮৮ সালের এই দিনে এক শিক্ষার্থী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৎকালীন মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্র হয়। এর মাধ্যমেই গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে অং সান সু চি’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। আজ সেই শিক্ষার্থীর মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনটিকে স্মরণ করে সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির জনগণ। খবর আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার দেশটিতে এই বিশেষ এই দিনকে ঘিরেই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের দুটি জেলায় শুক্রবার রাতে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে তিনজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এর আগের রাতেই গোলাগুলির ঘটনা। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে থারকেটা থানার সামনে জড়ো হওয়া জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ।
শনিবার সকালে ইনসেইন রেলওয়ে প্রাঙ্গণ ঘিরে রাখতে দেখা যায় সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের। যাকে বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অবরোধ’ বলে উল্লেখ করে।
একটি ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, অনেক আহত বিক্ষোভকারীকে সাহায্য করছেন তাদের সতীর্থরা।
আরেকটি ভিডিওতে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক বালককে পিটুনি দিতে দেখা যায় অন্য ফুটেজে।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ জানিয়েছেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে অন্তত ৭০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ২৫ বছরের কম।
অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে এবং সেখানে সহিংসতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম