২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩৬

মার্কিন ভিসা পেতে রাশিয়ানদের পাড়ি দিতে হবে ১ হাজার কিলোমিটার!

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন ভিসা পেতে রাশিয়ানদের পাড়ি দিতে হবে ১ হাজার কিলোমিটার!

আমেরিকা ও রাশিয়ার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রভাব এসে পড়লো ভিসা প্রক্রিয়ায়। রুশ নাগরিকদের মার্কিন ভিসা পেতে পাড়ি দিতে হবে এক হাজার কিলোমিটার দূরের ওয়ারশতে।

রবিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এখন থেকে মস্কোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে শুধু কূটনৈতিক ও সরকারি ভিসা দেওয়া হবে। বাকি সকল ভিসা পেতে রুশ নাগরিকদের যেতে হবে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে, যার দূরত্ব মস্কো থেকে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার।

'হোমলেস ন্যাশনালস'

যে সকল দেশে মার্কিন দূতাবাস নেই বা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে যেখানে দূতাবাসের কর্মীরা তাদের ভিসা ব্যবহার করতে পারেন না, সেই সব দেশের নাগরিকদের মার্কিন কূটনীতির পরিভাষায় বলা হয় 'হোমলেস ন্যাশনালস'। বর্তমান অবস্থায় রাশিয়ার নাগরিকেরাও এখন তাই।

রাশিয়া ছাড়াও ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, ইরান, লিবিয়া, কিউবা, সাউথ সুদান, ভেনেজুয়েলা ও সিরিয়ার জন্য এই পরিভাষা প্রযোজ্য রয়েছে। নন-ইমিগ্রেন্ট বিভাগে মার্কিন ভিসা পেতে রুশ নাগরিকদের তৃতীয় কোনো দেশের মার্কিন দূতাবাসে আবেদন করতে হবে।

এ বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে একটি বার্তায় জানান, "রাশিয়ায় কনস্যুলার প্রক্রিয়াকে বেশ কয়েক বছর ধরে ভেতর থেকে নষ্ট করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।"

ওয়াশিংটন ও মস্কোর এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ফলে দুই দেশে থাকা দুই দেশের দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে। ফলে ব্যাঘাত ঘটছে স্বাভাবিক কার্যকলাপেও।

এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে নথিপত্রের কাজ রাশিয়ানদের জন্য আরো জটিল হবে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, "রুশ সরকার মার্কিন দূতাবাসে কোনো রুশ বা অন্য তৃতীয় দেশের নাগরিককে চুক্তির ভিত্তিতে বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে নিয়োগ করতে না দিতে যে নিয়ম চালু করেছে, তাতে আমাদের দূতাবাসের কার্যকলাপ কঠিন হয়ে পড়েছে।" 

মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ওয়ারশর দূতাবাসেও যাতে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কেউ না যান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "আমরা বিমান যোগাযোগ, আবেদনকারীদের সুবিধার মতো নানা দিক বিবেচনা করেছি। পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের মধ্যে রুশ ভাষায় দক্ষতা থাকা ও তাদের সুবিধার কথা বিবেনা করেই এই সিদ্ধান্তটি নিলাম।"

সূত্র: ডয়েচে ভেলে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর