ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের হুমকি দিয়ে কেউ কখনও কোনো কিছু আদায় করতে পারেনি। তাই তাদের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সম্প্রতি আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ‘অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার পথ খোলা আছে’। এর জবাবে এই কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে।
তিনি আরও বলেন, ব্লিঙ্কেন যে কল্পিত ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা বলেছেন। এর আগে আমাদের অঞ্চলে তার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সেসব পরীক্ষায় আমেরিকার বিভীষিকাময় পরাজয় ঘটেছে এবং আমেরিকার রেখে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা এখন অন্যদের পরিষ্কার করতে হচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তার দেশের পরমাণু সমঝোতার বর্তমান অচলাবস্থার জন্য দায়ী আমেরিকা এবং এ বিষয়টি তাকে স্বীকার করতে হবে।
ইরান ২০১৫ সালে তার বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আমেরিকাসহ জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানির সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করে। কিন্তু ইরান ওই সমঝোতায় নিজের দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে যাওয়া সত্ত্বেও আমেরিকা ২০১৮ সালে একতরফাভাবে এটি থেকে বেরিয়ে যায়।
এরপর ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করে ওয়াশিংটন এবং নানা অজুহাতে একের পর এক তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে। তবে চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তার আগের সরকারের ইরান বিরোধী সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির ব্যর্থতা স্বীকার করেন এবং পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সূত্র: পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর