বিনয় ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য কানাডিয়ানদের সুনাম রয়েছে। ব্যতিক্রম দেখা গেল ভ্যাকসিন বিরোধী সমাবেশে। ভ্যাকসিন ও কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সপ্তাহের শেষে রাজধানীর রাস্তায় নেমে পড়ে এবং পার্লামেন্ট হিলের চারপাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ পর্যন্ত কানাডার সবচেয়ে বড় মহামারী সংক্রান্ত বিক্ষোভের পর, বিক্ষোভকারীরা তেমন সহানুভূতি পায়নি। বরং তাদের কিছু অশোভন আচরণে অনেকেই ক্ষুব্ধ। কানাডায় শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অটোয়ার বিক্ষোভকারীদের “প্রান্তিক সংখ্যালঘু” বলে অভিহিত করেছেন।
ভ্যাকসিন বিধির বিরুদ্ধে ক্রস কান্ট্রি “ফ্রিডম ট্রাক কনভয়’-এর পক্ষে একজন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ সমর্থনকারীসহ আয়োজকরা লক্ষ লক্ষ ডলার সংগ্রহ করেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা বিলিওনিয়ার ইলন মাস্কের সমর্থনও আদায় করেছে। অনেক বিক্ষোভকারীই হোটেল, মল, মুদি দোকানে মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানান।
অটোয়া পুলিশ প্রধান পিটার স্লোলাই বলেন, বেশ কয়েকটি তদন্ত চলছে এবং বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত হেট ক্রাইম, হুমকি এবং হামলা মোকাবেলায় একটি টিপ লাইন চালু করা হয়েছে। অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি ঢেউ কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিও ও কুইবেককে লকডাউনের দিকে ধাবিত করছে। প্রাদেশিক সরকার আরোপিত ভ্যাকসিনের বাধ্যবাধকতা বহাল রয়েছে।
কিন্তু রেস্তোরাঁগুলো তাদের আসন ক্ষমতার অর্ধেক লোকসমাগমের শর্তে সোমবার চালু হয়েছে। কুইবেকের প্রধান ফ্রাংকোস লেগল্ট গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেন, টিকাবিহীনদের বাড়তি ট্যাক্স দেয়ার প্রস্তাব তিনি পরিত্যাগ করেছেন। কারণ এটি কুইবেকবাসীদের বিভক্ত করছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা/ইউএস নিউজ
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর