শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। দেশটিতে মার্চে খাবারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। পর্যটনখাতের ওপর নির্ভরশীল দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।
এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কা তার ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের অক্ষমতা স্বীকার করেছে। এর মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কা নিজেকে ঋণ খেলাপি হিসেবে ঘোষণা দিল।
মঙ্গলবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থনৈতিক সহায়তার আগে বিদেশি সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না শ্রীলঙ্কা।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি সরকার ও সংস্থা বিভিন্ন সময় শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে, তারা চাইলে আজ থেকে সে ঋণকে ক্যাপিটালাইজ করতে পারে। অর্থাৎ প্রাপ্য সুদের পরিমাণকে মূলধনের সঙ্গে যোগ করে দিতে পারে অথবা ঋণের অর্থ শ্রীলঙ্কান রুপিতে পরিশোধের বিকল্প বেছে নিতে পারে।
জরুরি ভিত্তিতে পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শেষ হয়ে আসায় এই উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার।
এই উদ্যোগকে 'শেষ ভরসা' হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে শ্রীলঙ্কার অর্থ মন্ত্রণালয়। যাতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি না হয়।
গত বছর আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলো শ্রীলঙ্কার ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দেয়, ফলে দেশটি তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি নতুন ঋণ নিতে ব্যর্থ হয়।
অর্থনৈতিক এই দুর্দশা দেশটির জনগণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছে। এর মাঝেই ক্ষুব্ধ জনগণ দেশটির সরকারি নেতাদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছেন। প্রায় প্রত্যেকদিনই দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
সূত্র: এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন