ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি দেশটির ওপর বিভিন্ন সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যথাসময়ে তুলে নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ডিনারের শুরুতে সাংবাদিকদের কাছে ওই মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় সিরিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ইরানের বিষয়েও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
তবে ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেহরান রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আলোচনার কোনও অনুরোধ পায়নি। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলনের মুখে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সিরিয়ায় নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অত্যন্ত পীড়াদায়ক’ বলে উল্লেখ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানকে পুনর্গঠনের একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সঠিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারব।
তিনি বলেন, অতীতের মতো আমেরিকার মৃত্যু হোক, ইসরায়েলের মৃত্যু হোক এসব স্লোগান না দিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ইরানকে পুনর্গঠন করতে দেখলে আমার ভালো লাগবে।
একই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর পাইলটদেরও প্রশংসা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরান আর ‘মধ্যপ্রাচ্যের দাঙ্গাবাজ’ হিসেবে থাকতে পারবে না। ইরান দারুণ সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তাদের তেল শক্তি আছে এবং তাদের মহান, বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী মানুষ আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/একেএ