সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ গেছে, আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন আরও তিন হাজারের বেশি মানুষ। আর বাকিরাও পার করছেন নিরাশ্রয় দিন। কারো মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, কারো ঘরে নেই খাবার কিংবা পানি; ফোনের নেটওয়ার্কও নেই।
আগে থেকেই অনাহার ছিল আফগানদের, ছিল চিকিৎসার অভাব। তার ওপর ভূমিকম্প কবলিত পাকতিয়া প্রদেশে নতুন শঙ্কা হয়ে দেখা দিয়েছে কলেরা।
অনেকের পরিবারের সদস্যরা এখনও নিখোঁজ, তাই ধ্বংসস্তুপের মধ্যে প্রিয়জনদের খুঁজে চলেছেন স্বজনরা।
ধ্বংসস্তুপে স্বজনদের খুঁজতে থাকা আগা জান নামের একজন বলেন, ‘এটা আমার সন্তানের জুতা।’ এরইমধ্যে তার তিন সন্তান ও দুই স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছে।
এখনও কেউ বেঁচে থাকতে পারেন সেই আশায় বুক বেঁধে আগা জান খুঁজে চলেছেন। তিনি বলেন, ‘সবকিছু ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছে। এমনকি আমার বেলচাটাও! আমার যেন কিছুই করার নেই। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের সাহায্য চেয়েছিলাম। তবে ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে।’
আলি খান নামের আরেকজন জানিয়েছেন, ‘শিশুসহ আমার পরিবারের ১০ সদস্য মারা গেছে।’
এরইমধ্যে জাতিসংঘ দুর্গত এলাকায় কলেরা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে।
এদিকে তড়িঘড়ি করে উদ্ধার কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে আফগান সরকার। যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, এখনও অনেক দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকারীরা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল