জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ প্রকাশ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ ভবনের এ টি এম শামছুল হক মিলনায়তনে ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ স্লোগানে এই সংলাপের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। এতে সভাপতিত্ব করেন সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের নাগরিক অধিকার কতটুকু কীভাবে পাবেন সেই উদ্দেশেই জাতীয় সনদ তৈরি করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের মধ্যে এটি একটি সামাজিক চুক্তির ন্যায় ভূমিকা পালন করবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকাকালীন তারা নাগরিকদের এই অধিকারগুলো রক্ষা করবেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিচার, পুলিশ ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো আমরা দ্রুতই অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারব। এর মধ্য দিয়ে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও তাদের ভিতর সংস্কার আনতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের সংস্কার প্রস্তাবনার সব কটিতেই প্রায় শতভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছেন। দু-একটি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ আছে। তেমন একটা দ্বিমত নাই।
সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐকমত্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী মনির হায়দারসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা।