দেশের উত্তরের, উত্তর-পূর্বের ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনার কারণে এসব অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
পাউবোর পূর্বাভাস বলছে, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম—উত্তরাঞ্চলের এই পাঁচ জেলায় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলাতে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলাও রয়েছে এই তালিকায়।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি বাড়তে পারে এবং কিছু পয়েন্টে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে ফেনী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
এদিকে, তিস্তা নদীর পানিও রংপুর বিভাগের কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়াতে পারে। এতে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
অন্যদিকে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছু কিছু পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এই নদীসংলগ্ন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। তবে এর ফলে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। তিনি জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এবং উপকূলীয় এলাকাগুলিতে অতিভারি বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা