ব্রিটিশ-ইরানিয়ান দাতব্য কর্মী নাজনীন জাঘরি র্যাটক্লিফ ইরানে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি রেখে নিজের চুল কেটেছেন। আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন নাজনীন জাঘরি র্যাটক্লিফ। ২০১৬ সালের এপ্রিলে ইরান সরকার তাকে তেহরান বিমানবন্দর থেকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে সরকার উল্টে ফেলার অভিযোগ গঠন করা হয়। নাজনীনকে ৬ বছর কারাদণ্ড প্রদান করে তেহরান। সাজাপালন শেষে চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি।
সম্প্রতি তেহরান পুলিশের কাস্টডিতে সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে মাশা আমিনি নামে এক তরুণীকে নির্যাতন করা হয়। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর ২২ বছর বয়সী এই কুর্দি তরুণী মৃত্যুবরণ করেন। এর জেরে গত দুই সপ্তাহ যাবত ইরানে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই বিক্ষোভে সমর্থন দিয়ে নাজনীন নিজের চুল কেটেছেন। তার প্রকাশ করা এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বিবিসির শেয়ার করা ভিডিওতে নাজনীনকে একটি ব্লাকবোর্ডের সামনে একাধিকবার চুলে কাইচি চালাতে দেখা গেছে। ওই ব্লাকবোর্ডে পারস্য ভাষায় কিছু একটা লেখা ছিল।
ভিডিওতে একজোড়া কাইচি হাতে নাজনীন র্যাটক্লিফকে বলতে শোনা যায়– মাশার জন্য, পোয়ার জন্য, মোস্তফার জন্য, নিলুফা, সেপিদেহ, নার্গিসের জন্য, মায়ামের জন্য, মোরাদ, সিয়ামাক, পারিসা, তার মা, কন্যাসহ সকল কারাবন্দীদের প্রতি সংহতি রেখে তিনি চুল কাটছেন।
মূলত ভিডিওতে নাজনীন যাদের নাম বলেন তারা, ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার কিংবা সাম্প্রতিক বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল