ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে কারাগারে বন্দীদের ‘দাম্পত্য সাক্ষাতের’ অনুমতি দিয়েছে। খুনের অভিযুক্ত ৬০ বছর বয়সী এক বন্দী প্রথম এই সুবিধা ভোগ করেছেন। তার নাম গুরজিৎ সিং। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়েছে, কারাগারের ভেতর কয়েদিদের এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে পাঞ্জাব প্রথম ভারতীয় রাজ্য। গত ২০ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের ২৫টি কারাগারের মধ্যে তিনটি কারাগারে এ সুবিধা চালু হয়েছে।
পাঞ্জাবের প্রথম কারাগার হিসেবে টার্ন টারান জেলার গোইন্দাল কারাগারে কয়েদিরা এ সুযোগ পান। সেখানের বন্দী গুরজিৎ সিং বলেছেন, ‘কারাগারে একা ও বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কারাগারেই একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে বেশ স্বস্তি লাগছে।’
পাঞ্জাবের কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কয়েদিদের মধ্যে যারা আচার-আচরণে ভালো, প্রতি দুই মাসে দুই ঘণ্টার জন্য তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
পাঞ্জাব প্রশাসন কারা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার পর এক হাজারের বেশি কয়েদি সুযোগটি চেয়ে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ কয়েদি সুযোগটি পেয়েছেনও।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুনীল সিং এ ব্যাপারে বলেছেন, সে দেশের কিছু রাজ্যের কারাগারে যেসব কয়েদি ভালো আচরণ করেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে কারাগারে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান জন্ম’ বা ‘বৈবাহিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য কয়েদিদের ছুটির অনুমতি দেন আদালত। তবে সারা ভারতের পাঁচ লাখের বেশি কয়েদি বছরের পর বছর এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ