জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার আগে কিছু একটা করতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ক্ষমতার শেষ দিকে এসে প্রভাব কমে যাওয়া পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে যায়। এমনকি পুতিনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা ছিল না।
জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন স্পিগেলকে এভাবেই নিজের কথাগুলো তুলে ধরেন ম্যার্কেল। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এ হামলার আগে রাশিয়ার ব্যাপারে নিজের নীতি নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল।
চার মেয়াদে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ম্যার্কেল গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি ২০২১ সালের আগস্টে সবশেষ মস্কো সফর করেন।
ম্যার্কেল বলেন, ২০২১ সালের গ্রীষ্মে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্টে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁনের সঙ্গে ইউরোপীয় সংলাপের আয়োজন করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ নিয়ে সামনে এগোনোর ক্ষমতা তার ছিল না। কারণ, সবাই জানতেন, তিনি শিগগির বিদায় নেবেন।
ম্যার্কেল বলেন, তখনকার ধারণাটি ছিল খুব স্পষ্ট, ‘ক্ষমতার রাজনীতিতে তোমার প্রভাব শেষ।’ সাবেক এ চ্যান্সেলর বলেন, পুতিন শুধু ক্ষমতাকেই বিবেচনায় নেন। হামলা শুরুর আগে ইউক্রেন সীমান্তে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করেছিলেন পুতিন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই যুক্তি দিয়ে থাকেন, ম্যার্কেল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য নেতাদের ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পন্থা অবলম্বন করা উচিত ছিল।
ম্যার্কেল বলেন, মিনস্ক শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন বিষয়ে তার যে অবস্থান ছিল, এর ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে আত্মরক্ষার জন্য কিয়েভ প্রস্তুতির সময় পেয়েছিল।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল