নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে দুই বছর সাত মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করে দেশটির আদালত। গত বুধবার দেশটির আদালত এ রায় দেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, রায়ে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটা আপিল হবে। আর আদালত সেটা দেখবে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, আপিলে এই রায় বহাল থাকলে ২০২৪ সালের মেয়র পদে নির্বাচন করতে পারবেন না একরাম এবং প্রধান বিরোধী দল থেকে তার সদস্যপদ চলে যাবে।
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) একজন নেতা একরাম। তুরস্কের রাজনীতিতে তাকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হয়।
একরাম ইমামোগলু আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘রায়ে ইস্তাম্বুলের ১৬ লাখ মানুষকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
মেয়রকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, তারা এই ঘটনায় 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশ'।
একরাম ইমামোগলু ২০১৯ সালের মার্চ মাসে মেয়র নির্বাচিত হন। তার জয় এরদোয়ান এবং তার একে পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। একে পার্টি প্রায় ২৫ বছর ধরে ইস্তাম্বুল নিয়ন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই বছরের শেষ দিকে ইস্তাম্বুলে পুনরায় নির্বাচন হয়। সেটিতেও জয় পান একরাম। ওই জয়ের পরই আগের নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘বোকা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন একরাম ইমামোগলু।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো বাকি। মামলাটি এখন আপিল বিভাগে যাবে। নিম্ন আদালত কোনো ভুল করলে সেটা সংশোধন করা হবে। এই খেলায় তারা আমাদেরকে টানার চেষ্টা করছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে তার ভাবার সময় নেই।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল