ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অস্থিরতা চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে। এই ইস্যুতে ইরানের ওপর বহু সংখ্যক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা।
তবে ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করেছে।
এদিকে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই বড় দাবি করলেন ইরানের জাতীয় পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামি। তিনি বলেছেন, ইরান এখন পরমাণু প্রযুক্তি ও পণ্য বিদেশে রফতানির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
রবিবার রাজধানী তেহরানে ২৯তম পারমাণবিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মাদ ইসলামি পরমাণু ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরমাণু বিষয়ে যেসব গবেষণা হয় তা পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে হওয়া উচিৎ। এর ফলে পরমাণু ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, রক্ত জমাট বাধতে সহায়তা করে এমন একটি পাউডার উৎপাদনে সাফল্য এসেছে। এটি পরমাণু ক্ষেত্রে চলতি ফার্সি বছরের একটি বড় অর্জন। এর আগে এই পণ্যটি বিদেশ থেকে আনা হতো। কিন্তু এই পণ্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আমরা তা নিজেরাই উৎপাদন করছি। এখন এই পণ্য আমরা বিদেশে রফতানি করতে আগ্রহী।
নিউক্লিয়ার মেডিসিনের পাশাপাশি কিছু পরমাণু সরঞ্জাম এখন বিদেশে রফতানি হচ্ছে বলেও দাবি করেন মোহাম্মাদ ইসলামি। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/কালাম