সামরিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার অসংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়কে গণতন্ত্রের বিজয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
গত মে মাসে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারের পর তার সমর্থনে বিক্ষোভ করায় কয়েকশ মানুষের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে অভিযোগ করা হয়। মূলত এরই প্রেক্ষিতে সোমবার এ রায় এসেছে।
এর আগে বেসামরিক জনগণকে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার আদেশে পাকিস্তান সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, এমন সমালোচনার তোপেই সামরিক আদালতের মামলা এখন বেসামরিক আদালতে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
অনেকেই মনে করছেন, এর আগের সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্তদের বেসামরিক আদালতে আপিলের পথ সুগম করবে সুপ্রিম কোর্টের এ রায়।
এ রায় দেশের সংবিধান, আইন ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) একজন আইনজীবী আইতজাজ আহসান। এর আগে উচ্চ আদালতে সামরিক কার্যক্রম নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি।
গত মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। তখন কিছু স্থাপনা ভাঙার দায়ে কয়েকশ’ বিক্ষোভকরীর বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে মামলা করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরপর থেকেই ইমরান খান ও তার দল সরকারি কঠোর ব্যবস্থার তোপের মুখে পড়েছে। গ্রেফতার হয়েছে তার দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ