আসছে ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের রোষানলে পড়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। নির্বাচনী উত্তাপে তার দলের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ক্রিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান তার নির্বাচনী এলাকা ও পৈতৃক জন্মভূমি মিয়ানওয়ালিতে খুবই জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও, সেখানকার রাস্তা-ঘাটে তার দলের পোস্টার ও পতাকাশোভিত রাজনৈতিক প্রচারণার নামগন্ধই খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন দমন-পীড়নে তাকে ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’কে (পিটিআই) ভোটের আগেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকে প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে। ইমরান খান, বর্তমানে কারাগারে থেকে কয়েক ডজন আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে, আসন্ন ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছে। তবে মামলাগুলোকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
সারা দেশে, পিটিআই’কে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং কঠোর সেন্সর আরোপিত গণমাধ্যমগুলোকে বিরোধীদের খবর প্রচার সীমিত করে কার্যত তাদের প্রচারাভিযানকে প্রায় শূণ্যের কোঠায় ঠেলে দিয়েছে। দেশব্যাপী কয়েক ডজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে। মিনওয়ালিতে তার নেতার পরিবর্তে পিটিআই থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আহসান খান বলেছেন, তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকেই প্রায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, সভা করতে বা লিফলেট বিতরণ করতে পারেননি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক