পশ্চিম তীরের তুবাস শহরের কাছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি করে দু’জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে তুবাসে ইসরায়েলি সেনারা তার গাড়িতে গুলি চালালে একজন নিহত হন। তুবাসের দক্ষিণে আল-ফারা শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন স্থল ক্রসিং নির্মাণসহ গাজা ভূখণ্ডে মানবিক ত্রাণ আনার জন্য সেনাবাহিনী ‘নতুন ও উন্নত পদক্ষেপ’ গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার পর সর্বসাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হয়।
সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, নতুন ক্রসিংটি ‘ট্রাকগুলো পৌঁছানোর জন্য চ্যালেঞ্জিং এমন এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের কাছে সরাসরি আরও ত্রাণ পৌঁছাতে সহায়তা করবে।’
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা গোষ্ঠীগুলো কয়েক মাস ধরে গাজায় ট্রাকে করে ত্রাণ আনার ক্ষেত্রে বাধা সম্পর্কে অভিযোগ করে আসছে।
তাদের অভিযোগ, ত্রাণ এবং ত্রাণবাহী ট্রাক সামরিক বাহিনী দ্বারা বিলম্বিত হচ্ছে এবং যুদ্ধের কারণে গাজার উত্তরাঞ্চলের মতো স্থানে নিরাপদ প্রবেশ সম্ভবপর হচ্ছে না।
হাগারি বলেন, ইসরায়েল আশা করছে, প্রতিদিন ৫০টি ট্রাক নতুন ক্রসিং দিয়ে যাবে এবং প্রতিদিন গাজা ভূখণ্ডে পৌঁছানো মোট ট্রাকের সংখ্যা ধীরে ধীরে ৩৫০ থেকে প্রায় ৫০০-এ উন্নীত হবে।
জাতিসংঘ বলছে, অক্টোবরে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে গাজায় প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা আসত।
বুধবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে এক ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, ইসরায়েল আরও বেশি মানবিক সহায়তা সহজতর করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি দ্রুত কার্যকর করবে এবং এই মাসের শুরুতে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন কনভয় হামলার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে সহায়তা গোষ্ঠীগুলোর সাথে সমন্বয় করবে।” সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
বিডি প্রতিদিন/আজাদ