২০ মে, ২০২৪ ১৯:১৯

ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন রাইসি

অনলাইন ডেস্ক

ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন রাইসি

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ভাবা হচ্ছিলো ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে। বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর তিনিই ছিলেন ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিচক্ষণ ব্যক্তি।

৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে রক্ষণশীল রাজনীতিক। তার সঙ্গে বিচার বিভাগ ও ধর্মীয় অভিজাতদের গভীর সম্পর্ক ছিল। ২০১৭ সালে তিনি প্রথম ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবার সফল না হলেও ২০২১ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

রাজাভি খোরসান প্রদেশের মাশহাদে ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাইসি। তিনি ১৫ বছর বয়সে বিখ্যাত কওম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৮৩ সালে তিনি মাশহাদের জুম্মার ইমাম আহমেদ আলমলহোদার কন্যা জামিলেহ আলমলহোদাকে বিয়ে করেন। তাদের দুইজন কন্যা সন্তান আছে।

১৯৮৮ সালে পাঁচ মাসের জন্য তিনি বিচার বিভাগীয় একটি কমিটির অংশ ছিলেন। এই কমিটি রাজনৈতিক বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ধারাবাহিক এক প্রক্রিয়ার তদারকি করেছিল। এই ভূমিকার কারণে তিনি ইরানের বিরোধীদলগুলোর মধ্যে অজনপ্রিয় হয়ে উঠেন আর যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে তিনি তেহরানের অভিশংসক নিযুক্ত হন।

পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুলাহ খামেনির অধীনে রাইসির ক্রমপদোন্নতি হতে থাকে। ২০১৬ সালের ৭ মার্চ তিনি ইরানের দ্বিতীয় জনবহুল শহর মাশহাদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুদান সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভির চেয়ারম্যান হন। এই পদ ইরানের ক্ষমতার বলয়ে তাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।

ইরানের ধর্মীয় ক্ষমতাবলয়ের দৃঢ় আস্থার পাত্র ছিলেন রাইসি। ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা রুহুল্লাহ খোমেনির সঙ্গে তার সম্পর্ক যেমন দৃঢ় ছিল পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সঙ্গেও তাই ছিল। খামেনি তাকে বেশ কয়েকটি জ্যেষ্ঠ পদে নিয়োগ করেছিলেন।

রাইসি সরকারের সবগুলো শাখা, সামরিক বাহিনী ও আইনসভার পাশাপাশি প্রভাবশালী ধর্মতান্ত্রিক শাসক শ্রেণির সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।


চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথমদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনসুলার ভবনে চালানো এক হামলায় দেশটির শীর্ষ কমান্ডার ও তার সহকারীসহ সাতজন নিহত হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান।

ইরানের ক্ষমতার বলয়ের সব স্তরের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে তিনি নিজেকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্যও একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছিলেন। এ অগ্রযাত্রা বজায় থাকলেহয়তো একসময় তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতার পদেরও দাবিদার হয়ে উঠতেন।


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর