মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল ভারতে আসছেন। সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে তার ভারত সফর। দেশটিতে বেশ কিছু দিন থাকবেন তিনি। ভারতের যে সকল পর্যটক মালদ্বীপের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তাদের আবার সে দেশে ফেরাতে চান মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেই কারণেই মন্ত্রীকে ভারত সফরে পাঠাচ্ছেন তিনি। এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য হল ভারতের পর্যটকদের মলদ্বীপে ঘুরতে যেতে উৎসাহিত করা।
ভারতের পর্যটকদের ফেরাতে মালদ্বীপের এই প্রকল্পের নাম ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়া’। ভারতের পর্যটকদের ছুটি কাটানোর অন্যতম প্রধান জায়গা ছিল মালদ্বীপ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই জায়গা আবার ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী মুইজ্জু সরকার। তার মন্ত্রী ভারতের তিনটি বড় শহরে রোড-শো করবেন। তার মাধ্যমেই মালদ্বীপের পর্যটনের প্রচার করবেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে রোড-শো করবেন মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী। এরপর বৃহস্পতিবার মুম্বাইতে থাকবেন তিনি। সেখানেও একই রকম ভাবে রোড-শো করবেন। সবশেষে মালদ্বীপের মন্ত্রী যাবেন বেঙ্গালুরুতে। আগামী শনিবার ওই শহরে তার রোড-শো হবে।
এর আগে গত মে মাসে মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ভারতের পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। পর্যটকদের উদ্দেশে তিনি লিখেছিলেন, ‘দয়া করে মালদ্বীপে ঘুরতে আসুন। আমাদের দেশ পর্যটনের উপর খুব নির্ভরশীল।’
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা এক ধাক্কায় ৪২ শতাংশ কমে যায়। অথচ, ২০২৩ সালেই মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়া বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন ভারতীয়েরা। দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে ভারত থেকে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ মালদ্বীপে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে ওই সময়ের মধ্যে মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার। পর্যটকদের এই ঘাটতি ভাবিয়ে তুলেছে মুইজ্জু সরকারকেও।
গত নভেম্বরে মালদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি চীন সফর করেন। তার মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে মালদ্বীপের এক মন্ত্রী তাকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এর জেরে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ডাক ওঠে। তখনই ধারাবাহিকভাবে মালদ্বীপে কমতে শুরু করে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল