রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন দক্ষিণ অঞ্চলে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে রাশিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং এর জন্য কিয়েভকে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করে। এটা ২০২২ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় সীমান্ত অতিক্রম।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, কুরস্কে অতিরিক্ত বাহিনী ও সম্পদ মোতায়েন করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অবরোধ করে রাস্তাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারী সাঁজোয়া যানবাহন দ্রুত এলাকায় পৌঁছানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক প্রধান ওলেক্সান্দ্র সিরস্কিই সোমবার জানিয়েছেন, কুরস্কের প্রায় ১,০০০ বর্গকিমি এলাকা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই তথ্য শেয়ার করেছেন এবং রাতে তার ভাষণে জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্কে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ এখন রাশিয়ায় ফিরে আসছে, যেমন মস্কো অন্যান্য দেশগুলিতে যুদ্ধ নিয়ে গিয়েছিল।
কুরস্কের গভর্নর আলেক্সেই স্মিরনভ পুতিনকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণে ২৮টি বসতি হারানো হয়েছে এবং আক্রমণটি প্রায় ১২ কিমি গভীর এবং ৪০ কিমি প্রশস্ত। তিনি জানান, ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ১,২১,০০০ মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। মোট ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ার পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিয়েভের বাইরে রাশিয়ার বিমান হামলায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, সুমি অঞ্চল থেকে ২০,০০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ে মস্কো এবং কিয়েভ পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। তবে উভয় পক্ষই জানিয়েছে, কোনো বাড়তি বিকিরণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার মিত্রদের কাছে পুনরায় ‘সম্পূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেছেন, ইউক্রেনের দীর্ঘ ও কঠিন যুদ্ধের জন্য উন্নত অস্ত্র এবং গোলাবারুদের পাশাপাশি একটি বৃহত্তর জাতীয় মোবিলাইজেশন প্রয়োজন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল