রাশিয়া সম্প্রতি ইরানকে তাদের ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই সম্পর্কের উন্নতির ঘোষণা দেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
ইরানের সঙ্গে মস্কোর সামরিক সহযোগিতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে ইরানের স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা মস্কো পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারছে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি দাবি করেছে, তাদের কাছে ইরান থেকে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে। এর আগে ইরান রাশিয়াকে ‘শাহেদ ড্রোন’ সরবরাহ করেছিল। এই ড্রোন ইউক্রেনে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এখন ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি সামনে এলে মস্কো-তেহরান সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক মুখপাত্র জানান, এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহের প্রমাণ মিললে তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
ইরান অবশ্য এসব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি দাবি করে বলেছেন, আমরা এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করছি না।
তেহরান ইউক্রেন সংঘাত থেকে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য সবসময় সত্যি হয় না।’
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে বলে জানান পেসকভ। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা সব স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’ তবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই সহযোগিতা ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল