৫ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইসরায়েলে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছে ইরান। দেশটির মিত্র শক্তিগুলো লাগাতার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের উত্তর-পূর্বের দুই শহরে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় ৩০ ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেল আবিবের উত্তর-পূর্বে ইসরায়েলি শহর হাশারনে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে। তাছাড়া মধ্য ইসরায়েলের তেল আবিবের উত্তর-পূর্বে আরেক শহর তিরায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে ইজবুল্লাহর ছোড়া রকেটের আঘাতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।
এ অবস্থায় ইরান ও তার মিত্রদের ভয়ে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা নিজেদের সামরিক সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বি-৫২ বোমারু যুদ্ধবিমান, রিফুয়েলিং এয়ারক্রাফট এবং নৌ বাহিনীর ডিস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ মোতায়ানের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (০১ নভেম্বর) দেশটির এ ঘোষণা দেয়। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামনের মাসগুলোতে এগুলো মোতায়েন করা হবে। এছাড়া মার্কিন সেনা মোতায়েন নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে আন্দোলন চলছে। সেটিওকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র এয়ার ফোর্স মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান, তার মিত্রদেশ অথবা ইরানের বদলে অন্য কোনো দেশ যদি মার্কিন সেনা বা এই অঞ্চলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জনগণকে সুরক্ষিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে দুটি বিমান রণতরী মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে ইরানের হামলার পর। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে সহযোগিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নিরাপত্তাবলয় হিসেবে কাজ করে। সিরিয়া, ইরাক, জর্ডান এবং ইয়েমেন থেকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র এখন এই পদক্ষেপগ্রহণ করেছে। সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/শআ