ইহুদি রাব্বি (ধর্মগুরু) জেভি কোগান খুনের ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে সংযুক্ত আরব-আমিরাত।
রবিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে গ্রেফতারকৃতদের নাম-পরিচয় কিংবা হত্যাকাণ্ডের তাদের ভূমিকা কী ছিল, সে বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি আমিরাতি কর্তৃপক্ষ। শুধু বলেছে, ‘সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে এমন কোনও পদক্ষেপ বা প্রচেষ্টার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সমস্ত আইনি ক্ষমতা ব্যবহার করা হবে এবং এতে কোনও নমনীয়তা দেখানো হবে না।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেভি কোগান ইহুদি রাব্বি বা ধর্মগুরু ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি ও মলদোভার যৌথ নাগরিক। জেভি কোগান এক সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতেও চাকরি করেছেন। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চারেদি ইউনিটের গিভাতি ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। রবিবার ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল-আইন নগরী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে আমিরাতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াইনেট নিউজ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোগানের গাড়িটি আল-আইনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এতে আরও বলা হয়, ওই গাড়িতে ধ্বস্তাধ্বস্তি বা লড়াইয়ের চিহ্ন রয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সন্দেহ, ইরানকর্তৃক নিয়োগকৃত কয়েকজন উজবেক নাগরিক ইহুদি রাব্বি জেভি কোগানের ওপর আক্রমণ করেছে এবং পরে তারা তুরস্কে পালিয়ে গেছে।
এদিকে ইহুদি ধর্ম বিশেষজ্ঞ জেভি কোগানকে হত্যার ঘটনাকে ইহুদি-বিরোধী ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঘটেছে। একজন ইসরায়েলি নাগরিক ও চাবাদ রাব্বি প্রতিনিধিকে হত্যার এই ঘটনা ঘৃণ্য ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী হামলা। ইসরায়েল তার ক্ষমতার সব উপায় ব্যবহার করে ঘাতকদের এবং যারা তাদের পাঠিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউই রেহাই পাবে না।
তবে বিবৃতিতে কীভাবে কোগানের খুনিদের বিচারের আওতায় আনা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
কোগান কী ধরনের পরিস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/একেএ