রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকা। সব বাধা পেরিয়ে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খানের সমর্থকরা শহরের কেন্দ্রস্থল ‘জিরো পয়েন্টে’ পৌঁছে যান। পিটিআই নেতা কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ওই এলাকা।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন, পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা ইসলামাবাদের ডি-চকের কাছে বাধা এড়িয়ে জড়ো হচ্ছেন। তাদের বাধা দিতে সড়কে প্রতিবন্ধক হিসেবে কিছু কনটেইনার রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেগুলোর ওপরও উঠে বসেছেন। অন্যদিকে সেনাসদস্যদেরও একটি কনটেইনারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ডি-চক হলো ইসলামাবাদের অত্যন্ত সুরক্ষিত ‘রেড জোন’-এর একটি গোলচত্বর। দীর্ঘদিন ধরে এই চত্বর রাজনৈতিক প্রতিবাদের অন্যতম স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই এলাকায় পার্লামেন্ট হাউস, সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, পিটিআই সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে- পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মুলতান, রাজানপুর, গুজরাট, দেরা গাজি খানসহ পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেট–সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
জিও টিভির খবরে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি মঙ্গলবার জানিয়েছেন- সরকার সবভাবে পিটিআই নেতাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সময়টা নিচ্ছেন আর রাজধানীর কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছেন।
নাকভি বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সাগজানিতে জড়ো হতে বলেছিলাম। তাদের দলের নেতৃস্থানীয় কেউই রক্তপাত চান না। তবে ভেতরে একজন গোপন নেতৃত্ব আছেন, যিনি সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তিনি আরও জানান, যেকোনও উপায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসলামাবাদের আইজিকে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন- দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকবেন। সূত্র: জিও নিউজ, ডন নিউজ, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ