সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছে। তিন মামলায় মোট ১৮৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রতিটি মামলায় ‘আরও অনেকে’কে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ভাঙ্গা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের এক সাবেক চেয়ারম্যানসহ ভাঙ্গা, সদরপুর ও ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক জনপ্রতিনিধিরা।
আসামিদের বাড়ি ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সদরপুর, চরভদ্রাসন, সালথা ও ফরিদপুর সদর উপজেলায়। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক।
ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। এক মামলায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ‘আরও অনেকে’কে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়। অপর মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ‘আরও অনেক’কে আসামি করা হয়। আরেকটি মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার মণ্ডল। এ মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অনেকে আসামি।
অপর মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক রামপ্রসাদ চক্রবর্তী। সেখানে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহম্মেদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খান মো. শাহ সুলতান রাহাত।
এ ছাড়া ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী, মানিকদহ, নুরুল্লাগঞ্জ, কাউলিবেড়া, নাছিরাবাদ, তুজারপুর, চান্দ্রা, কালামৃধা, ঘারুয়া ও চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানরা আসামি হয়েছেন- মোট ১০ জন ইউপি চেয়ারম্যান। এ ছাড়া ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কাউছার ভূইয়া, সদরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খান, ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোবারক খলিফাসহ ভাঙ্গা উপজেলার তিনজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর সকালে ঢাকা–খুলনা, ঢাকা–বরিশাল মহাসড়ক এবং ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পুলিয়া, মুনসুরাবাদ, সুয়াদি ও পুখুরিয়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর ভাঙ্গা থানায় মোট চারটি মামলা করে পুলিশ।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, নাশকতার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, সমর্থন, অর্থায়ন এবং অপরাধ সংগঠনের ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল