দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ভারতের মধ্যপ্রদেশে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গণপিটুনির ফলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি গ্রামের একটি সাধারণ নলকূপ থেকে পানি তুলেছিলেন। তা নিয়েই ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, গ্রামপ্রধান এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরা যুবককে বেধড়ক মারধর করেন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার ইন্দ্রগড় গ্রামের। নিহতের নাম নারদ জাতাভ (২৭)। তিনি গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। শিবপুরীতে মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের নানীর জমি রয়েছে। সেখানে সেচের প্রয়োজনে মঙ্গলবার তিনি স্থানীয় নলকূপ থেকে পানি তোলেন। সেই পানি সেচের কাজে লাগান। এর পরেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। গ্রামের প্রধান পদ্মসিংহ ধাকড় এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুবকের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। জাত নিয়ে তাকে খোঁটা দেওয়া হয়। তার পর শুরু হয় মারধর।
অভিযোগ, লাঠি এবং রবারের পাইপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে মারধর করা হয় যুবককে। পদ্মসিংহ ছাড়াও সেখানে ছিলেন বেতাল ধাকড়, জশবন্ত, আওয়াধেশ, মোহরপাল, অঙ্কেশ, দখা বাই, বিমন ধাকড়। যুবককে মারের ভিডিও রেকর্ড করা হয় বলে অভিযোগ। মার খেয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় যুবক পড়ে গেলে তারা পালিয়ে যান। যুবককে উদ্ধার করে তার আত্মীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। মোট আট জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জীব মুলে জানিয়েছেন, একটি সাধারণ নলকূপ থেকে পানি তোলা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা হয়েছিল। তাতে এক দলিত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল