ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল গাজা অঞ্চলের নুসেইরা ক্যাম্পের মতো আরেকটি জিম্মি উদ্ধার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। হামাস হুমকি দিয়েছে, ইসরায়েল এমন কোনো উদ্যোগ নিলে তারা জিম্মিদের ‘নিষ্ক্রিয়’ করার ব্যবস্থা নেবে।
গত ২২ নভেম্বরের ওই বিবৃতিতে হামাস তার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন কোনো পরিস্থিতির ভয় না করে নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসরণ করে। একইসঙ্গে তারা জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ দায়ী বলে ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিটি হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের গোয়েন্দা ইউনিট থেকে গোষ্ঠীর বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়। এতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযানের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, হামাসের ওপর চাপ বাড়ছে এবং এবার তারা সত্যিই একটি কার্যকর জিম্মি বিনিময়ের দিকে এগোতে সক্ষম হবে।
গত ৯ জুন নুসেইরা ক্যাম্পে ইসরায়েলের জিম্মি উদ্ধার অভিযানে চার জিম্মি মুক্ত করা হয়। তবে এই অভিযানে ২০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারায় বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এটিকে যুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী অভিযান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হামাসের বিবৃতিতে তাদের সদস্যদের প্রতি জিম্মিদের জীবনযাত্রার শর্ত আরও কঠিন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতির একটি অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শত্রুর যেকোনো উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত এবং তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্ক্রিয়করণের আদেশ কার্যকর করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে।
এরপর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৪৪,৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল