রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মাল্টায় একটি বার্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছেন। এই বৈঠকটি অরগানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই)-এর বার্ষিক সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
যদিও ইউক্রেন এই বৈঠকের প্রধান রাজনৈতিক বিষয় হবে। তবে সেখানে নিরাপত্তা ও মানবাধিকার সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে শেষ মুহূর্তে হওয়া চুক্তিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হবে। পশ্চিমা দেশগুলো প্রায়ই রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ট্রাম্প ফেরায় উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ৫৭টি অংশগ্রহণকারী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের এই বৈঠক কিছুটা ম্লান হয়ে গেছে।
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে কাজ করছেন। তারা যে পরিকল্পনা করছেন তাতে ইউক্রেনের বড় অংশ রাশিয়ার হাতে চলে যাবে। এমনকি ইউক্রেনকে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদও দেওয়া হবে না।
তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার ঠিক এক মাস আগে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।
অন্যদিকে রাশিয়া সম্ভবত এই সংস্থার সমালোচনা নতুন করে শুরু করবে। গত বছর ল্যাভরভ বলেছিলেন, ওএসসিই আসলে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পরিপূরক সংস্থায় পরিণত হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইতোমধ্যে দেশটির চারটি অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশে এটিই ল্যাভভরভের প্রথম সফর হবে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ