সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের রাজধানী দামেস্ক দখলের মুখে রবিবার সকালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ ছাড়েন তিনি।
বাশার আল-আসাদ টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফিজ আল-আসাদ টানা ২৯ বছর সিরিয়া শাসন করেন। বাশার আল-আসাদের পালানোর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় ৫৩ বছরের আল-আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান হলো।
বাশার আল আসাদের পতন নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়েছেন। রবিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আসাদ প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। রাশিয়া এই প্রক্রিয়ায় কোনো ভূমিকা রাখেনি বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিদ্রোহীদের জন্য শাসন ব্যবস্থা গড়া কঠিন চ্যালেঞ্জ
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর বিদ্রোহী জোটের জন্য নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত কঠিন হবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষক জেরোম ড্রেভন। তিনি সিএনএন-কে বলেন, বিদ্রোহী জোট একটি বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠী। কিছু গোষ্ঠী অত্যন্ত সংগঠিত, যেমন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও তার মিত্ররা। অন্যদিকে কিছু গোষ্ঠী স্থানীয় এবং কম সংগঠিত।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য তুরস্ক, কাতার এবং কিছু উপসাগরীয় ও ইউরোপীয় দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে উপসাগরীয় দেশগুলো নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেই বেশি আগ্রহী হবে।
সিরিয়ার বর্তমান অবস্থায় আন্তর্জাতিক সমন্বয় অত্যন্ত প্রয়োজন। বিদ্রোহী জোটের ভিন্নমুখী কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থের সংঘাত পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে। তবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমর্থনের মাধ্যমে সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল