রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি প্রস্তাব করেছেন, ১৫ মে ইস্তাম্বুলে এই আলোচনা শুরু হোক আর সেখানে কোনও পূর্বশর্ত থাকবে না। পুতিন বলেন, এই আলোচনা সংঘাতের মূল কারণ দূর করে স্থায়ী শান্তির পথে এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে।
এই প্রস্তাব আসে এমন সময়ে যখন ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার প্রতি ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ এবং পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তারা হুঁশিয়ারি দেন, রাশিয়া সম্মত না হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
পুতিন তার বক্তব্যে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন নতুন যুদ্ধবিরতি, একটি নতুন শান্তিচুক্তি নিয়ে একমত হতে পারে আর এটি তিনি অস্বীকার করছেন না। তিনি আরও জানান, তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে, ইউক্রেন এখনও পুতিনের প্রস্তাব সম্পর্কে কোনও মন্তব্য সেভাবে করেনি। তবে ক্রেমলিন জানায়, তারা প্রস্তাবটি বিবেচনা করছে, তবে কোনো চাপের মুখে তারা সম্মতি দেবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলার একটি কৌশল হতে পারে। এই প্রস্তাবিত আলোচনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছরের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের শান্তি উদ্যোগ হবে।
তথ্য সূত্র - আলজাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ