সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘স্বাগতযোগ্য পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণার পর এ পদক্ষেপ কার্যকর হয়।
এর আগে উপসাগরীয় সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে করমর্দন করেন এবং ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে ‘মহত্বের পথে একটি সুযোগ’ দিতে চায়।
ট্রাম্পের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে চমক সৃষ্টি করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘকালীন শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন শারার নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসন।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, ‘সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়, যা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জনগণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।’
এটি ‘দেশে চলমান মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট লাঘবে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
১৯৭৯ সালে সিরিয়ার ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, বাশার আল-আসাদের পিতা হাফেজ আল-আসাদের শাসনামলে। ২০১১ সালে গণবিক্ষোভ দমনকে কেন্দ্র করে তা আরও কঠোর হয়, যা পরে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
আসাদ সরকারকে ক্ষমতায় রাখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার পুনর্গঠনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট জানান, ‘সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে’ বেশ কিছু অনুমোদন কার্যকর করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নতুন সরকারের জন্য প্রযোজ্য হবে এই শর্তে যে তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
২০২০ সালের সিজার অ্যাক্টের আওতায় যেসব কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেগুলো থেকে ১৮০ দিনের জন্য অব্যাহতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এটি মূলত বিদেশি বিনিয়োগে বাধা না দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে।
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত